‘পরিবেশ ধ্বংসের’ দায় নিজের কাঁধে নিলেন মেয়র আরিফ!
![](https://dailymanchitro.com/images/manchitroicon.png)
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
সবুজ সিলেট ডেস্ক :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে অপরিকল্পিতভাবে পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। এ মানববন্ধনে হাজির হয়ে এসব ঘটনার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ভূমিসন্তান বাংলাদেশ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে অপরিকল্পিতভাবে পরিবেশ ধ্বংসের যে ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু করেছে তাতে সিলেটের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। সবুজ শ্যামল সিলেট থেকে হারিয়ে যাবে। উন্নয়নের নামে কংক্রিটের নগরীতে পরিণত হবে। তাই অবিলম্বে বৃক্ষ কর্তনসহ পরিবেশ বিধ্বংসী সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
সিসিক কর্তৃক উন্নয়নের নামে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মাঝখানে অবস্থিত পুরনো একটি বৃক্ষ কাটার প্রতিবাদে ভূমিসন্তান বাংলাদেশের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অতীতেও দেখেছি সিসিক কর্তৃপক্ষ উন্নয়নের নামে বৃক্ষ কর্তন করেছে। সে সময় প্রতিবাদ করা হলে সিসিক মেয়র দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। ভবিষ্যতে কোনো গাছ কাটা হলে পরিকল্পিতভাবে কাটা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে সবুজায়নের জন্য একটি কমিটিও করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এ কমিটির আর কোনো খবর নেয়া হয়নি এবং একের পর এক পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ সময় সম্প্রতি নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের অভ্যন্তরে একটি পুকুর ভরাট করার প্রতিবাদ করে বক্তারা বলেন, কিছুদিন আগে সিসিক থেকে উন্নয়নের নামে পুকুর ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল- পুকুর ভরাট করে কিসের উন্নয়ন?
সিসিকের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধনে উপস্থিত হন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই। তিনি মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে আগামীতে এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে সবার পরামর্শ নিয়ে করার আশ্বাস দেন।
এমনকি তিনি সিলেট নগরীকে সবুজায়নের জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সবার সহায়তা চেয়ে বলেন, ইতোমধ্যে আমি নগরীর বেশ কয়েকটি দীঘি খননের প্রস্তাব দিয়েছি। নগরীর সংস্কার করা প্রতিটি সড়কের আইল্যান্ডে গাছের চারা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তাই গাছ কাটা হোক এটা আমিও চাই না। কিন্তু এখানে যে গাছটি কাটা হয়েছে এটা আসলে কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। তাই আমি যখন জানলাম মানববন্ধনের কথা, তখন আমিও ছুটে এসেছি। এখানে এসে বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা থেকে মানুষের উপস্থিতি দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি আগামীতে যদি বিশেষ প্রয়োজনে গাছ কাটতেই হয় তাহলে যথাযথ পরিকল্পনা করে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।