ঘর পাচ্ছেন সিলেটের ৫৩৩ পরিবার
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের ওসমানীনগরে ৫৩৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন। এর মধ্যে ২১৫ পরিবারকে একক গৃহ এবং ৩১৮ পরিবারকে ব্যারাকে ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা করছে উপজেলা পিআইসি কমিটি। ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পৌঁছে গেছে উপজেলা প্রশাসনের কাছ।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মুজিববর্ষে সব গৃহ ও ভূমিহীনদের (ক শ্রেণির) ঘরসহ ভূমি উপহার দিতে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে উপজেলা পিআইসি কমিটি। দুর্যোগ সহনীয় প্রতিটি ঘরে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। উপজেলার ৮টি ইউপির বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ভূমি চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আপাতত উপজেলার তাজপুর ইউপির খাশিপাড়া দিঘিরপারে ১০টি, গেয়ালাাবাজার ইউপির ইলাশপুরে ২৮টি, সাদিপুর ইউপির বেরারচরে ৪০টি, বুরুঙ্গা ইউপির নিজ বুরুঙ্গায় ৭টি, একই ইউপির সিরাজনগরে ৫টি ও দয়ামীর ইউপির ধিরারাই গ্রামে ১০টি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এরমধ্যে তাজপুর ইউপির খাশিপাড়া গ্রামের দিঘিরপাড়ের ১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ১০০টি একক ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হলে অবশিষ্ট আরও ১১৫টি একক ঘর এবং ৩১৮ পরিবারের জন্য ব্যারাক নির্মার্ণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। জমি চিহ্নিত করার কাজ শেষ হলেই পর্যায়ক্রমে সব গুলো গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
টিনশেড আধাপাকা ঘরের মধ্যে দুটি কক্ষ সহ বারান্দা, একটি রান্নঘর, একটি বাথরুম ও ইউটিলিটি রয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের তালিকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাজপুর ইউপির খাশিপাড়া দিঘিরপাড়ে নির্মিত ১০ ঘরে জন্য চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত ১০ গৃহহীন উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফসানা তাসলিম। একই প্রক্রিয়ায় বাকি নির্মিত ঘর গুলো উপকারভোগীদের জন্য প্রদান করা হবে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইসি কমিটির সভাপতি তাহমিনা আক্তার বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের উপজেলা মোট ৫৩৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে আমার ১০০টি গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে ১০টি ঘরে কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাকি ঘরগুলো নির্মাণ কাজ শেষ হলে হস্তান্তর করা হবে।
সবুজ সিলেট/১২ ডিসেম্বর / সেলিম হাসান