ওসমানীনগরে স্থাপনা নির্মাণে বাধা, নিরাপত্তহীনতায় পরিবার
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
ওসমানীনগর প্রতিনিধি :: ওসমানীনগরে আদালতের রায় থাকার পরও নিজ ভূমিতে নতুন স্থাপনা নির্র্মাণ করতে গিয়ে নিরাপত্তহীনতায় ভূগছে এক প্রবাসীর পরিবার। এলাকার একটি পক্ষ প্রবাসীর নিজ নামীয় ১০ শতক ভূমির দখল নিতে চালিয়ে যাচ্ছে নানা তৎপরতা। এ বিষয়ে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক আদালতের রায়ের আলোকে নতুন স্থাপনা নির্মাণে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে শনিবার বিকেলে ওসমানীনগর প্রেসক্লাবে প্রবাসী আব্দুল হকের পক্ষের সংবাদ সম্মেলন করেন তার ভাগ্নে সুমন মিয়া।
উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের নতুনবাজার এলাকার তাজপুর গ্রামের ওয়াছির রহমানের পুত্র সুমন মিয়া লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৩ বছর ধরে নতুন বাজার এলাকায় প্রবাসী আব্দুল হকের ১০ শতক ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে স্থানীয় একটি পক্ষ দখলে নেয়ার পায়তারা চালায়। এ বিষয়ে আব্দুল হক বাদি হয়ে ২০১৭ সালে নতুন বাজার এলাকার খাতুপুর গ্রামের সৈয়দুল ইসলাম ও তাজপুর গ্রামের আলী হোসেন গংদের অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হকের পক্ষের রায় প্রদান করেন। সহায়তা প্রদানের জন্য রায়ের বিষয়ে থানা পুলিশকেও অবগত করা হয়। কিছুদিন আগে আদালতের রায় উপেক্ষা করে স্থানীয় সৈয়দুল ইসলাম ও আলী হোসেনসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আব্দুল হকের ভূমিতে থাকা টিনশেডের দোকানকোঠা দখলে আবারও চেষ্টা চালায় এবং নতুন স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সৈয়দুল ইসলাম ও আলী হোসেনরা আর কখনও স্থাপনা নির্মাণে কোন প্রকার আপত্তি করবে না বলে সবাইকে আশ^স্ত করে। কিন্তু গত ১৮ নভেম্বর সকালে উল্লেখিত ভূমিতে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে সৈয়দুল ইসলাম সৈয়দ, মুহিবুর রহমান এপ্যালের নেতৃত্বে তাদের নিযুক্ত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরাসহ শ্রমিকদের উপর হামলা ও নির্মাণ সামগ্রী জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার খবর পেয়ে সৈয়দুল ইসলামসহ তার নিযুক্ত লোকজন নির্মাণ শ্রমিকসহ সুমন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। তাদের এসব কর্মকান্ডে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। থানা পুলিশ বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আলী হোসেনকে অভিযুক্ত করে ২০ নভেম্বর এ ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। যার নং ৫৩/২০২০।
সুমন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত সৈয়দুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে নতুন বাজার এলাকাসহ আমার নানা বাড়ির পাশে মহড়া দিচ্ছে। স্থানীয়জনপ্রতিনিধি, সালিশ ব্যক্তিত্বরা বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির চেষ্টা চালালেও সৈয়দুল ইসলামরা কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে আমার মামা আব্দুল হক আদালতে রায়কৃত ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণে ভূমিখেকো চক্রের বাধা ও দেশে অবস্থানরত তার স্বজনদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের বিষয়ে ১০ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ সেলে লিখিত অভিযোগ দেন।
তিনি বলেন, সৈয়দুল ইসলাম উরপে সৈয়দ ও তার পুত্র মুহিবুর রহমান এপ্যাল এলাকার চিহ্নিত জালিয়াত চক্র। তাদের ভয়ে সর্বদা এলাকার লোকজনকে থাকতে হয় আতংঙ্কিত। যেকোনো সময় সৈয়দুল ইসলামসহ তার নিযুক্ত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ওই জায়গায় প্রবেশ করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে পারে। এ জন্য আমরা নিরাপত্তাহীনতাসহ বড় ধরণের ক্ষতির আশংকা করছি।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সৈয়দুল ইসলাম বলেন,আমরা কাউকে স্থাপনা নির্মানে বাধা দেইনি। ওই প্রবাসীর লোকজন আমার জায়গার উপর এনে বালু ফেলে রেখেছেন।
ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন,বিজ্ঞ আদালত যে রায় প্রদান করেছেন আমরা সে রায় বাস্তবায়নেই কাজ করছি। কোন প্রকার দখল, হামলা কঠোর হস্তে মোকাবেলা করার প্রত্যায়ে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।