গোসলের সুন্নত ও ফরজ সমূহ
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ৩:২৬ অপরাহ্ণ
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক :: সুন্নতমতো গোসল করার জন্য নিম্নোল্লিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যাতে গোসল পরিপূর্ণ হয়।
গোসল শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করা। (জমউল জাওয়ামে : ১৩০৭৩)
পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা। (বুখারি, হাদিস : ১)
উভয় হাতকে প্রথমে কবজি পর্যন্ত ধৌত করা। যেমন অজুতে ধোয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ২৪০)
কাপড় অথবা শরীরে নাপাকি লেগে থাকলে তা গোসলের পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ৪৭৪)
গোসলের পূর্বে অজু করা। কিন্তু জায়গা যদি এত নিচু হয় যে পানি জমে যায়, তবে পা পরে ধৌত করা। (বুখারি, হাদিস : ২৪০, ২৪১)
পুরো শরীরে তিনবার পানি প্রবাহিত করা। (মুসলিম ৪৭৪, ৪৭৬, মওসুআতুল ফিকহিয়া আল কুয়েতিয়্যা : ৩১/২১৫)
প্রথমে মাথায় পানি ঢালা এরপর ডান কাঁধে এবং এরপর বাম কাঁধে পানি ঢালা। (বুখারি, হাদিস : ৫৪০৬, ২৫০)
শরীরকে ঘষামাজা করে ভালো করে ধোয়া। (আবু দাউদ ২১৬, আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/৪৬৭)
অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহ ধারাবাহিকভাবে ধোয়া, যাতে এক অঙ্গ ধুতে গিয়ে অন্য অঙ্গ শুকিয়ে না যায়। গোসল সম্পর্কে যতগুলো হাদিস আছে সবগুলোর মর্মার্থ থেকে এটিই প্রতীয়মান হয়। (বুখারি, হাদিস : ২৫৭, আবু দাউদ ২৮১)
গোসলে তিনটি বিষয় ফরজ
কুলি করা । (বুখারি, হাদিস : ২৫৭, ২৬৫, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬, সুনানে সুগরা লিল বায়হাকি : ১/৫১)
নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, হাদিস : ২৬৫, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬, সুনানে সুগরা লিল বায়হাকি : ১/৫১, দারাকুতনি : ৪২০)
সমগ্র শরীরে এমনভাবে পানি পৌঁছানো, যাতে কোনো স্থান শুকনা না থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৭, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/৪২)