শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজিবি দিবসের সূচনা
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণসবুজ সিলেট ডেস্ক ::
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজিবি দিবস-২০২০ এর উদযাপনের সূচনা হলো। রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর সফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করেন বাহিনীর মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।
এরপর বিজিবির ‘সীমান্ত গৌরব’ এ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিজিবি বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি)।
ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবার বিজিবি দিবস খুব জামকালোভাবে উদযাপন করা হয়। এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত আকারে দিবসটি পালন করছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিজিবির পক্ষ থেকে ১০০ জেলেকে নৌকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের মাছ ধরতে জাল দেওয়া হবে। দেশের জেলেরা দাদনের ফেরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। জেলেরা যাতে দাদন থেকে মুক্ত হয়ে নিজেরা নিজেদের জীবিকা রাখতে পারে সেজন্য আমরা এই কর্মসূচি করছি।
ডিজি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা উভয় দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনতে আমরা কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণকে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তারা অবৈধভাবে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ না করেন।’
তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনতে হলে সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে ও শিক্ষার মাধ্যমের উন্নত করে তোলা গেলে সীমান্ত হত্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
বিজিবির সাফল্য ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে টেকনোলোজির দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। টেকনোলোজির সঙ্গে বিজিবিকে এগিয়ে নিতে হলে বাহিনীতে আধুনিক টেকনোলজি স্থাপন করা প্রয়োজন। এছাড়াও বিজিবির সব সদস্যের প্রয়োজন টেকনোলোজিক্যাল প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা। আমাদের দেশের সীমানায় কিছু স্থানে এখনও অরক্ষিত রয়েছে। অরক্ষিত জায়গাতে বিওপি স্থাপন করা গেলেও সীমান্তে হত্যাসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
সবুজ সিলেট/ এস মায়াজ আহমদ তালহা