বিদ্যালয়ের টয়লেটে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় রাফিনের ৬ ঘন্টা
![](https://dailymanchitro.com/images/manchitroicon.png)
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৪, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণঅনলাইন ডেস্ক: মাদারীপুরে স্কুলের টয়লেটে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে ৬ ঘন্টা পরে মুক্ত হলো ৯নং পাঁচ খোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র রাফিন
ক্লাস ছুটির পর সবাই বাড়ি গেলেও বিদ্যালয়ের বাথরুমে আটকা পড়ায় ফিরতে পারেনি প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র। প্রায় ৬ ঘণ্টা বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করার পরে অবশেষে শ্বাসরুদ্ধকর এ পরিস্থিতি থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হয় ১ম শ্রেণির ওই শিশু ছাত্র। ঘটনাটি শনিবার ( ১৮ মে-২০২৪) এ জানাজনি হলেও বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়,পাঁচখোলা এলাকার মৃত্যু নুরুল হকের ছেলে রাফিন। সে ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর একজন ছাত্র।প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবারও স্কুলে গিয়েছিলেন রাফিন।তখন তাদের পরীক্ষা চলতেছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটির পর রাফিন টয়লেটে যাওয়ার পরে দপ্তরি খোকন খান টয়লেট চেক না করেই বাহির থেকে রশি দিয়ে আটকিয়ে দেন।পরে শিশুটি দরজাটি খোলার জন্য ডাক চিকিৎসার করলেও কোন সাড়া মেলেনি। এ সময় বারবার দরজা খোলার চিৎকার করায় শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত এসে যায়।ছয় ঘন্টা চেষ্টার পর শিশুটি এক পর্যায় টয়লেটের দরজাটি খুলতে সক্ষম হয়।
এদিকে ছুটির পর শিশুটি বাড়িতে না ফেরায় তার বাড়ির কর্মকর্তারা বিভিন্ন ছাত্র ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে একটি মুদি দোকানদারকে বিদ্যালয়ের কেচি গেট খোলার জন্য ডাকাডাকির এক পর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকজন মিলে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী এ ঘটনাকে ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ৬ ঘন্টা পর স্কুলের বাথরুম থেকে জীবিত ফিরে এলেও আর কিছু সময় হলেই ছুটির ঘন্টা বেজে যেত শিশুটির।
সরেজমিনে ওই ছাত্রের বাড়িতে গেলে সে তার ভাষায় বৃহস্পতিবারের ঘটনা বোঝানোর চেষ্টা করলেও তার বাড়ির পরিচালক বাতেন খান শিশুটির সাথে কথা বলতে নিশেধ করেম। এ কারণে শিশুটির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দোকানদার বলেন,দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাথরুমের আটকা পড়ার পরে কোন মতে দরজা খুলেই তিন তালার বেলকনি থেকে আমাদের ডাক দেয় পরে আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ঐদিন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বের হবার আগ পর্যন্ত এমন কিছু তার নজরে পড়েনি।আমি পরে জানতে পেরেছি। বিষয়টির সাথে কে জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করা হবে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন,এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।