স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বিমানবাহিনীর সদস্য খোকনকে পুলিশে হস্তান্তর
![](https://dailymanchitro.com/images/manchitroicon.png)
দৈনিক মানচিত্র ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ২:২৪ অপরাহ্ণ
সবুজ সিলেট ডেস্ক :: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার ১নং আসামি বিমানবাহিনীর সদস্য খোকন ভৌমিককে (২৫) পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটি থেকে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসা হয় তাকে।
খোকন ভৌমিক উপজেলার নালুয়া চা বাগানের মৃত নিবারণ ভৌমিকের ছেলে। এ মামলায় অপর আসামি বিশ্বজিত ভৌমিকের বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চুনারুঘাট থানার ওসি এম আলী আশরাফ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার এসআই আলী আজহার জানান, খোকন বিমানবাহিনীর এলএসএ পদে চাকরিরত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোমবার বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষকে আসামি হস্তান্তরের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে খোকনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার সার্কেল এএসপি মো. নাজিম উদ্দিন ও চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। একই সঙ্গে তাকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলী আজহার।
চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ খোকনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। মামলার অপর আসামি সেনাবাহিনীর সদস্য বিশ্বজিত ভৌমিকের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা বাগানের এক আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই বাগানের মৃত নিবারণ ভৌমিকের ছেলে বিমানবাহিনীতে সৈনিক পদে কর্মরত খোকন ভৌমিক (২৫) ও মৃত সাগর ভৌমিকের ছেলে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে কর্মরত বিশ্বজিৎ ভৌমিককে (২৪) আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজার কুলাউড়ার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে খোকন স্কুলছাত্রীকে হোমওয়ার্ক করানোর কথা বলে নলুয়া চা বাগানে খোকনের ঘরে নিয়ে যায়।
বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় খোকন ভৌমিক তার বন্ধু বিশ্বজিৎ ভৌমিকের সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী লোকলজ্জা ও ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বড়বোনকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।